• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mysterious Death

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
কলকাতা

খাস কলকাতায় ভয়াবহ কাণ্ড, ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন মহিলার রহস্যমৃত্যু

সাতসকালেই খাস কলকাতায়, ভয়ঙ্কর ঘটনা, তুমুল চাঞ্চল্য। ট্যাংরায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। পথ দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে মিলল এই তিন মহিলার মৃতদেহের খোঁজ। দুর্ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন ভোরে একটি গাড়ি রুবি হাসপাতালের মোড় থেকে অভিষিক্তার মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ইএম বাইপাসের উপর কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা মারে। ঘটনার তদন্তে নেমে ট্যাংরার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন মহিলার নিথর দেহ। আদৌ দুর্ঘটনা না আত্মহত্যার চেষ্টা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়িতে কোনও ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা গাড়িতে বাইরে বেরিয়ে ছিল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদের হাতের শিরাকাটা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটে ঘর থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিন জনের মধ্যে একজনের স্বামী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনজনই আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মহত্যা না খুন, সব দিকটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ জোগার করা হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে মুখে না খুললেও পুলিশের দৃঢ়় ধারনা ওই পরিবারের নিজেদের মধ্যে বড় কোনও সমস্যা আছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
রাজ্য

রক্তাক্ত স্ত্রী ও মেয়ের পাশে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বিরাট রহস্য!

শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নীচতলা থেকে উদ্ধার মহিলার গলা কাটা দেহ ও এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখার্জি নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রুপা মুখার্জিকে গলা কেটে খুন করার পর কন্যা সন্তানের গলা কাটে। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের থেকে নিচতলার ঘরের মধ্যে থেকে সাগর মুখার্জি নামে ওই ব্যক্তির ও তার স্ত্রী দেহ উদ্ধার করে। কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসে পৌঁছেছেন। বিধায়ক জানান, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেন এবং সন্তানেরও গলা কাটেন। এরপরেই ওই ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। সাগর মুখোপাধ্যায় নামে ঐ ব্যক্তিকে তিনি চেনেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুখী পরিবার হিসেবেই তাঁরা দেখেছেন মুখোপাধ্যায় দম্পতিকে। সাগর মুখোপাধ্যায় পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী বলেই জানা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

একই পরিবারের চার জনের রহস্য মৃত্যু দুর্গাপুরে, ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পিছনে কি?

একই পরিবারের চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরে। দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙার মিলনপল্লি এলাকার এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। রবিবার ভোরে মিলনপল্লির বাসিন্দা অমিত মন্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। তার স্ত্রী, ১০ বছরের এক ছেলে ও এক বছরের একটি মেয়ের দেহ ঘরের মধ্যে পড়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। কিন্তু এলাকাবাসীরা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে বাধা দেয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ , অমিত মন্ডল ও তার পরিবারকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই অভিযোগ?মৃত অমিত মন্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে মদত রয়েছে মৃত অমিত ওরফে বুবাই মন্ডলের মা বুলারানী মন্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টু। অভিযোগ, মৃত অমিত জানতে পেরে যায় মামার বাড়ির পরিবারের বেশ কিছুজনের ২০১২ সালে টেট পাস না করেও চাকরি হয়েছিল। এমনই কথা অমিত তাঁর বোন সুদীপ্তাকে হোয়াটস এ্যাপ মারফত লিখে জানায়। তারপরই এদিন ভোরে এই ঘটনা ! মৃত অমিত মন্ডল পেশায় একজন জমি ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ও প্রশান্ত নায়েকও জমি ব্যবসায়ী বলে ওই হোয়াটস এ্যাপ মেসেজে লিখেছে অমিত। সেখানে অমিত অভিযোগ করেছে, বিভিন্ন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বে-আইনী ভাবে জমির লেনদেন করে বিপুল সম্পত্তি করেছে। এছাড়াও সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে সুশান্ত নায়েক, এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছে অমিত, দাবী সুদীপ্তার। ওই মেসেজে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ সিবিআই ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলপন মৃত অমিত। সুদীপ্তা দেবীর আরও অভিযোগ, অমিতের হাত পেছমোড়া করে বাঁধা রয়েছে ও বাড়ীর সিসিটিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, গতকাল রাতে মা বুলারানী মন্ডল এই বাড়ীতেই ছিলেন। যিনি আবার নিজের ছেলে ও তার পরিবারকে কখনও ভাল চোখে দেখতেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।গোটা ঘটনায় পরতে পরতে দানা বেধেছে রহস্য। বিশেষ করে মৃত অমিতের বোনকে করা হোয়াটস এ্যাপ মেসেজ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে।

মার্চ ১৯, ২০২৩
রাজ্য

যুবকের রহস্য মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কাণ্ড, অবৈধ প্রণয়ের জের? তদন্তে পুলিশ

অগ্নিদ্বগ্ধ যুবকের মৃতদেহ ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটল বিধাননগর পৌরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়ারা সরদার পাড়ায়। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।ভাঙচুর করা হয় মৃতের শ্বশুরবাড়ি এবং তার স্ত্রীর প্রেমিক সঞ্জীব সরদারের বাড়ি। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। চলে ভাঙচুর। সামাল দিতে ইকো পার্ক থানা এবং বাগুহাটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেয় এলাকার বাসিন্দারা।শনিবার বিধানগর পৌরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়ারা সরদার পাড়ায় শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে। রবিবার রাতে আরজিকর হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের নাম সমীর মুখার্জি। যুবক শ্বশুর বাড়িতেই থাকতো। সমীর মুখার্জির সঙ্গে ১১ বছর আগে হাতিয়ারা সরদার পাড়ার ঝুম্পা মুখার্জির সাথে বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর ঝুম্পার সঙ্গে সমীরের অশান্তি শুরু হয় সঞ্জীবকে নিয়ে। সঞ্জীব ও ঝুম্পার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানার পর প্রায় প্রতিদিনই সমীর আর ঝুম্পার মধ্যে ঝামেলা হতো, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, যুবকের স্ত্রী ঝুম্পা ও তার প্রেমিক সঞ্জীব সরদারের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধেও তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেয়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

রসুলপুরে নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার এক

পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন গেট এলাকায় নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। ধৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ সরকার ওরফে পলাশ সরকার। বাড়ি রসুলপুর এলাকাতেই। মৃতার বাড়ির কাছেই তার বাড়ি। জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশসুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে মৃতার আত্মীয় সুরজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, মেয়েটি খুবই নম্র ভদ্র ছিল। একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের কথা বাড়িতে জানত। কয়েকমাস পরে সাবালিকা হবার পর তার বিয়ের জন্য সব যোগাড় চলছিল। এরমধ্যে এইরকম একটি সাধারণ মেয়ের এইভাবে হত্যা কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের ধারণা কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ভোরবেলা ঘরে ঢুকেছিল। তারপর তাকে চিনে ফেলায় এই কান্ড ঘটিয়েছে। যে বা যারা এই কাজে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হোক। ধৃত ছেলেটিও সন্দেহের আওতায়। তার নাকি জিভ কেটে গেছে। সে বাইরে থেকে চিকিৎসা করিয়ে এনেছে বলে তাদের দাবি। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে আজও এলাকায় শোকের ছায়া রয়েছে।গতকাল সকালে এক নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যেকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন রাস্তা এলাকায়। মেয়েটির বয়স মাত্র সতেরো। তার মা ও এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে কেউ খুন করেছে। পুলিশ খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর রেলগেটের কাছে নতুন রাস্তা এলাকায় মৃতার বাড়ি। তার মা দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি সব্জি আনতে মেমারি যান। সেদিনও মেয়েকে বলেই বেরোন। মেয়েকে জানিয়ে বাইরে দিয়ে দরজা লাগিয়ে যান। আলোও জ্বালা ছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ তিনি ফিরে আসেন। তিনি ও তার ভাইপো গিয়ে দেখেন মেয়ের কোনও সাড় নেই। বালিশটা একপাশে পড়ে আছে। মুখটা কিছুটা ফোলা। তাদের চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। এসে দেখা যায় মেয়েটি মৃত। এরপর পুলিশ আসে। উত্তেজিত এলাকাবাসী মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাঁধা দেন। তাদের বুঝিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠায় পুলিশ। এলাকায় তদন্তে যান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
রাজ্য

সব্জী ব্যবসায়ী মায়ের অনুপস্থিতিতে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু বর্ধমানের রসুলপুরে

এক নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন রাস্তা এলাকায়। মেয়েটির বয়স মাত্র সতেরো। তার মা ও এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে কেউ খুন করেছে। পুলিশ খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশসুপার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে।পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর রেল গেটের কাছে নতুন রাস্তা এলাকায় মৃতার বাড়ি। তার মা দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি সব্জি আনতে মেমারি যান। আজ ও মেয়েকে বলেই বেরোন। মেয়েকে জানিয়ে বাইরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে যান। আলোও জ্বালা ছিল। সকাল ৭ টা বাজতে ১০ মিনিট আগে তিনি ফিরে আসেন। তিনি ও তার ভাইপো গিয়ে দেখেন মেয়ের কোনো সাড় নেই। বালিশ টা একপাশে পড়ে আছে। মুখটা কিছুটা ফোলা। তাদের চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। এসে দেখা যায় মেয়েটি মৃত। এরপর পুলিশ আসে। উত্তেজিত এলাকাবাসী মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাঁধা দেন। তাদের বুঝিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠায় পুলিশ।এলাকায় এসেছেন জেলা পুলিশসুপার কামনাশীষ সেন সহ পুলিশের টিম।জেলা পুলিশসুপার জানান; ঘটনাটি সকালের দিকেই ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তারা ফরেন্সিক টিম ডেকেছেন।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এর কিনারা করবেই পুলিশ।মৃতা মেয়েটি বৈদ্যডাঙ্গা গার্লস স্কুলে পড়তো। তার মৃত্যতে শোকের ছায়া এলাকায়।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
রাজ্য

Mysterious Death : পিকনিক করতে গিয়ে রহস্য মৃত্যু যুবকের, আটক তিন বন্ধু

বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতর নাম সৌরভ অধিকারী(১৯)। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কোলে মল্লিকাপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবায় মেমারির নুদিপুরে পিকনিক করতে যান। এদিন হগলীর বৈঁচির সেচখাল থেকে উদ্ধার হয় সৌরভের মৃতদেহ। সৌরভকে পরিকল্পনা করে প্রাণে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন তাঁর পরিবার। এদিনই যুবকের মৃত দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মেমারি থানার পুলিশ যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর তিন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক সৌরভ বৃহস্পতিবার তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে পিকনিক করতে বেরহয়। পিকনিক করার জন্য ওইদিন তাঁরা মেমারির নুদিপুরে ডিভিসির সেচ ক্যানেলের লকগেট সংলগ্ন এলাকায় যায়। তার পর থেকে রাত অবধি সৌরভের আর কোন খোঁজ পাননা তাঁর পরিবার। সৌরভের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে তাঁর পরিবারকে বন্ধুরা নানারকম কথা বলে বলে অভিযোগ। তা নিয়েই তৈরি হয় রহস্য। যুবকের হদিশ পেতে তাঁর পরিবার রাতেই মেমারি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এদিন সকাল থেকে মেমারি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ডুবুরি নামিয়ে নুদিপুরে সেচ খালে শুরু হয় তল্লাশি। তারই মধ্যে বেলায় হুগলির পাণ্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈচির সেচ খালের লকগেটের কাছে এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে থাকার খবর আসে পুলিশের কাছে। মেমারি থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যুবকের পরিবার বৈঁচি পৌছে দেখেন সেখানকার ক্যানেলের জলে সৌরভের মৃতদেহ ভাসছে। এর পরেই সৌরভের পরিবার অভিযোগ করে সৌরভকে পরিকল্পনা করে প্রাণে মারা হয়েছে। সৌরভের মৃত্যুর জন্য তাঁর আত্মীয় মিলন আধিকারী সৌরভের বন্ধুদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মেমারি থানার পুলিশ সৌরভের তিন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।পুলিশ যদিও জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই যুবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

Mysterious Death: বর্ধমানে জুনিয়র ডাক্তারের রহস্য মৃত্যু, খুনের অভিযোগ তুললেন বাবা

রহস্যজনক মৃত্যু হলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের। মৃতের নাম শেখ মোবারক হোসেন (২৩)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার সাহাজাদপুরে। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জরি বিভাগের হাউস স্টাফ ছিলেন।আরও পড়ুনঃ দেশে বেড়ে গিয়েছে ভিখারির সংখ্যা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্টমোবারক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর বয়েজ হোস্টেলে থাকতেন। বুধবার ভোর রাত আড়াইটে নাগাদ হোস্টেলের অন্য আবাসিক ডাক্তাররা হঠাৎই উপর থেকে ভারি কিছু পড়ার শব্দ পান। তখনই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন নীচে ডাক্তার মোবারক হোসেন রক্তাক্ত অবস্থায় উবুর হয়ে পড়ে রয়েছে। এমন ঘটনা দেখেই হোস্টেলের অন্য জুনিয়র আবাসিক চিকিৎসকরা সিনিয়ারদের খবর দেয়। সিনিয়ার ডাক্তাররা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। মোবারক হোসেনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।আরও পড়ুনঃ শর্তসাপেক্ষে খুলছে বেলুড় মঠচিকিৎসকের এমন মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে! তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) সৌভিক পাত্র ও বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী এদিন ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। তাঁরা ঘটনাস্থলে সবিস্তার খতিয়ে দেখেন। এদিনই চিকিৎসকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। তাঁরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরা-কাণ্ডের জের, অভিষেক-সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে এফআইআরমৃত চিকিৎসকের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম যদিও তাঁর ছেলের মৃত্যু আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে মানতে চাননি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছেলে মোবারক হোসেনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল সুহৃতা পাল বলেন,চিকিৎসক শেখ মোবারক হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা পুলিশকে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ফরেন্সিক টিম এনে তদন্ত করা হবে ।

আগস্ট ১১, ২০২১
কলকাতা

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর দেহরক্ষীর 'রহস্যমৃত্যু'র তদন্তে সিআইডি

৭২ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার কাঁধে নিল সিআইডি। ২০১৮ সালে ১৩ই অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে নিহত হন তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী (Security) শুভব্রত চক্রবর্তী (Subhabrata Chakraborty)। ঘটনায় শুক্রবারই কাঁথি থানায় (Kanthi) নতুন করে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়। স্বামীকে খুনের অভিযোগ তুলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের করেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী। সোমবারই শুভব্রতর মহিষাদলের বাড়িতেও যাওয়ার কথা গোয়েন্দাদের।আরও পড়ুনঃ রথের রশি টানতে না পারার অক্ষমতায় বেদনাতুর শিক্ষক জগন্নাথ, এ এক মর্মস্পর্শী সংগ্রামের কাহিনীসুপর্ণার অভিযোগ পেয়ে কাঁথি থানায় ৩০২ এবং ১২০বি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। নিজের অভিযোগপত্রে একগুচ্ছ প্রশ্নে কার্যত শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুপর্ণা। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীর মৃত্যু-রহস্যের পিছনে প্রকৃত সত্য উদঘযটনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, এফআইআরে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের স্ত্রী। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তায় থাকাকালীন কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন শুভব্রত চক্রবর্তী (Suvabrata Chakraborty)? কেন তাঁকে দেরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? জানতে চেয়েছেন তিনি। এদিকে আড়াই বছর পর কেন এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরও পড়ুনঃ অনাড়ম্বরেই মাসির বাড়ি যাচ্ছেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাএই মর্মে তিনি আগেই বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় দেখিয়ে এসব হবে না। সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলুন, শুভেন্দু অধিকারী তুমি আমাকে নন্দীগ্রামে হারিয়ে দিয়েছো। তাই ৩ মাস বা ৬ মাস জেলে থাকতে হবে। তিনি বয়সে বড়। যেদিন বলবেন তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে কদিন জেলে কাটিয়ে আসব।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে মহিলা কলেজের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল কলেজ অধ্যাপকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃতর নাম মহম্মদ আকবর হোসেনুর রহমান(৪০)। এই ঘটনার জানাজানি হতেই বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অধ্যাপকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পলাতক স্ত্রীর খোঁজ চালাচ্ছে।পুলিশ ও মৃতর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ আকবর হোসেনুর রহমান শহর বর্ধমানের উদয়চাঁদ মহিলা কলেজর ভূগোলের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর আদি বাড়ি বীরভূম জেলার মাড়গ্রাম থানার একডালায়।বর্তমানে তিনি বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে সস্ত্রীক থাকতেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই এদিন সকালে বর্ধমানে চলে আসেন আধ্যাপকের বাবা মুজিবর রহমান। তিনি এদিন জানিয়েছেন,গত জুলাই মাসে হোসেনুর রহমানের বিয়ে হয় সুহানা পারভীনের সঙ্গে। এটি তাঁর ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে। মুজিবর বাবু বলেন, তাঁর বৌমা তাঁকে ফোন করে এদিন ভোরে বলে হোসেনুর খুব অসুস্থ পড়েছে। সেইজন্য তাঁকে তাড়াতাড়ি বর্ধমানে চলে আসতে বলে। এরপর থেকেই বৌমার ফোন সুইচড অফ হয়ে থাকে। মুজিবরবাবু জানান, তিনি বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের বাড়িতে পৌ্ঁছে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ কারা রয়েছে। তারই মধ্যে পুলিশ চলে আসে । পুলিশের সঙ্গে তিনিও ঘরে ঢোকেন। তখন দেখতে পান ঘরের মেঝেতে তাঁর ছেলে হোসেনুরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। তার মাথার পিছনের দিকে আঘাতের ক্ষত চিহ্নও রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিভাবে ছেলের মৃত্যু হল এবং কেনই বা হোসেনুরকে ফেলে রেখে বৌমা সুহানা পারভীন গা ঢাকা দিল তার সবটাই রহস্যে মোড়া বলে মৃতর বাবা মন্তব্য করেছেন ।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal